নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরীর বায়েজিদ থানার গুলশান হাউজিং, শেরশাহ বাংলা বাজার ও জালালাবাদ এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ে ৮ ব্যক্তিকে ৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর। গত সোমবার পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে শুনানি শেষে এ জরিমানা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৭ ধারা অনুযায়ী এ জরিমানা করা হয়েছে। তারা পাহাড় কেটে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি করে আসছিলেন। আজ পরিবেশ অধিদফতরে শুনানি শেষে এ জরিমানা করা হয়েছে। পাহাড় কাটা ও দখলের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদফতরের মামলা দায়েরসহ এনফোর্সমেন্ট কার্যকম অব্যাহত আছে।
জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের অভিযানে ৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাহাড় দখল করে কাটা এবং বহুতল ভবন নির্মাণের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে শুনানিতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরিবেশ অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, গুলশান হাউজিং এলাকার পাহাড় কেটে দশতলা ভবন নির্মাণ করায় কাজী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ২ লাখ টাকা, পাহাড় কেটে টিনশেড ভবন নির্মাণ করায় জুনাব আলী নামের একজনকে ১ লাখ ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগেও একই কারণে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলা পরিবেশ আদালতে বিচারাধীন।
এছাড়াও পাহাড় কাটায় মো. সিরাজুল ইসলাম নামের একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকার পাহাড় কেটে টিনশেড ঘর তৈরি করায় দিদারুল আলম চৌধুরী নামের এক ব্যক্তিকে ১ লাখ ৮ হাজার টাকা, পাহাড় কেটে নয়তলা ভবন নির্মাণের অপরাধে মোহাম্মদ রফিক নামের একজনকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, একই অপরাধে মোহাম্মদ আলী নামের এক জনকে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আর পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধভাবে গরুর খামার স্থাপন ও পাহাড় কাটায় মো. সিরাজুল ইসলামকে ৬০ হাজার টাকা এবং পাহাড় কেটে টিনশেড ঘর নির্মাণ করায় মো. আলমগঅর হোসেন নামের একজনকে ৪৩ হাজারসহ মোট ৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদফতর।