নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমাদের নিজস্ব আয়ের উৎস হচ্ছে রাজস্ব খাত। চসিকের ব্যয়ের বিস্তার ও পরিধি বাড়লেও আনুপাতিকহারে রাজস্ব আয়ের পরিধি বাড়েনি। কারণ এর উপর নির্ভর করে থাকা যায়না। তাই এই খাতে গতিশীলতা ও পরিধি বৃদ্ধি প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বচ্ছতা ও পেশাগত দায়বদ্ধতা এর ফলে চসিকের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আজ মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) সকালে আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের কে.বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে রাজস্ব বিভাগে অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, চসিকের আটটি রাজস্ব সার্কেলে তেমন জনবল সংকট নেই। তবে পেশাগত দক্ষতার সংকট আছে। তাই ক্ষেত্রবিশেষে রাজস্ব আদায় অত্যন্ত নিম্ন। কিছু অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাব আগেও ছিল এখনোও তা কমেনি। এক্ষেত্রে নতুন করে যাতে কোন অভিযোগ না আসে সেজন্য সচেষ্ট হতে হবে। অভিযোগ এলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, অতীতে কোন কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব আদায়কারী রাজস্ব দাতাকে উৎকোচ গ্রহণ করে অবৈধ ছাড় দেয়ার অভিযোগ ছিল এবং তা প্রমাণিতও হয়েছে। কিন্তু যারা অবৈধভাবে চসিকের রাজস্ব আদায়ের পরিধি সংকুচিত করেছে তারা প্রাপ্য শাস্তি পায়নি। এবার আমি তা হতে দেবো না।
তিনি এও উল্লেখ করেন, একটি তিনতলা বাড়ি যে হারে রাজস্ব দিতো বাড়িটি ৫তলা হলেও আগের হারে রাজস্ব দিচ্ছে। এই বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব আদায়কারীর চোখে না পড়লে দূর্নীতি হয়েছে বলে মনে করা অবান্তর হতে পারে না। এ্যাসেসারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা এ্যাসেসমেন্ট করতে গিয়ে আইন বর্হিভুতভাবে অযৌক্তিক কর নির্ধারণ করার ফলে যে সমস্ত করদাতারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাদের তালিকা তৈরী এবং সমাজের অসহায়, বিধবা ও অতি দরিদ্রদের কর দিতে চাপ না দেয়া এবং প্রতিমাসে রাজস্ব আদায়ের মাসিক প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সার্কেল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
মেয়র চসিকের আয়ের বিকল্প ব্যবস্থার উপর জোর দিয়ে বলেন, নগরীতে চসিকের যে সকল জায়গা খালি পড়ে আছে তা চিহ্নিত করে আয়বর্দ্ধক প্রকল্প গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।তিনি আরো বলেন, আমি নগরীকে ক্লিন ও গ্রীন করতে চাই, সৌন্দর্য্য বর্দ্ধন করতে চাই। এজন্য অর্থের প্রয়োজন তাই রাজস্ব আয়ের পরিধি বাড়াতে হবে এবং শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, অর্থ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মো. শহিদুল আলম, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, এম. আশরাফুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরী। সভায় সার্কেল ওয়ারী রির্পোট পেশ করা হয়। সভার শুরুতে কোরান থেকে তেলেওয়াত করেন মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা হারুনুর রশীদ চৌধুরী।