ক্রাইম প্রতিবেদক: তিন দফা দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রাম ইলেট্রিক চার্জার রিকশা মালিক সমিতি। আজ সোমবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইলেট্রিক চার্জার রিকশা মহানগরী এলাকায় চলাচলের বৈধতা নিশ্চিতকরণ, ট্রাফিক ও থানা পুলিশের বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি , জরিমানা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা বিহির্ভুত কর্মকান্ড বন্দের দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি ওয়াজি উল্লাহ।
তিনি বলেন, নগরীর প্যাডেল রিকশাচালকদের অধিকাংশ বয়োবৃদ্ধ। অপরদিকে পাহাড়বেষ্টিত এই নগরীর প্রায় সড়কই বেশ উঁচুনিচু ও অসমতল। ফলে বিপুল সংখ্যক বয়োবৃদ্ধ চালকের পক্ষে প্যাডেলরিকশা চালানো খুবই কষ্টসাধ্য ও পীড়াদায়ক। দেশের প্রতিটি বিবেকবান মানুষ ও সরকার একবাক্যে স্বীকার করবেন যে, শতাব্দীকালের প্রাচীনতম প্যাডেলচালিত রিকশার ব্যবসা বা পেশা প্রকৃতপক্ষে একটি অমানবিক ও সামাজিক মর্যাদাহীন কাজ। সুতরাং, মানবসভ্যতা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রগতি ও উৎকর্ষের পরও দেশের লাখ লাখ মানুষ কেন ঘৃণ্য দাস প্রথার মতো মানুষ টানার পেশায় নিযুক্ত থাকতে হবে? এটা নিঃসন্দেহে জাতির জন্য লজ্জা ও অবমাননাকর! তাই, পরিবেশ, যাত্রীবান্ধব তথা মানবিক চার্জাররিকশা প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমেই মূলত প্যাডেলরিকশার মতো অমানবিক ও সামাজিক মর্যাদাহীন পেশার শান্তিপূর্ণ অবসান সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, খুলনা, সিলেট, গাজীপুর, কুমিল্লা মহানগরীসহ দেশের প্রায় এলাকায় এখন পরিবেশ, যাত্রীবান্ধব ও আধুনিক ইলেকট্রিক চার্জাররিকশা চলাচল করছে। এটি দেখেশুনে এখানকার প্যাডেল রিকশাচালকরা বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ চালকরা অনেকদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছিলেন যে, দেশের অন্যান্য নগরী ও এলাকার মতো চট্টগ্রাম মহানগরীর প্যাডেল রিকশামালিকরাও যেন ইলেকট্রিক চার্জাররিকশা চলাচলের বন্দোবস্ত করেন। এতে একদিকে নগরীর উঁচুনিচু সড়কগুলোতে বয়োবৃদ্ধ চালকদের অমানুষিক পরিশ্রমের অবসান হবে এবং অন্যদিকে নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রীসেবা নিশ্চিত হবে। সর্বোপরি প্যাডেলরিকশার অমানবিক পেশা সত্যিকার অর্থে মানবিক ও মর্যাদাপূর্ণ স্তরে উন্নীত হবে। তাই, আমদানিকৃত পরিবেশ, যাত্রীবান্ধব ও আধুনিক চার্জাররিকশা আমাদের গ্রাম, শহর ও নগরের সাধারণ মানুষের নিকট এখন নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক যাত্রীপরিবহন হিসেবে সমাদৃত।
বৈধতার বিষটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব রিকশার পত্যেকটি জিনিসপত্র বৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে। অবৈধ হলে সংশ্লিষ্টরা আমদানির সময় বাধা দিতে পারতেন, বর্তমানে এসব রিকশার সাথে জড়িয়ে আছে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন জীবীকা। রাজশাহী ও রংপুরসহ অন্যান্য পৌরসভায় এসব রিকশার বৈধতা দেওয়া হয়েছে। খেটে খাওয়া মানুষের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অন্যান্য পৌরসাভার ন্যায়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে এসব রিকশা চলাচলের বৈধতা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এসময় সংগঠনটির সহ-সভাপতি মো. মহিবুল্লাহ, সাধারান সম্পাদক সানাউল্লাহ চৌধুরী, রনজিৎ দেবনাথ, মো. বেলাল ও মো. ইসমাইলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।