ক্রাইম প্রতিবেদক : ছোট ভাইকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছে বড় ভাই মনির আহমদ। বড় ভাই মনির আহমদের ক্ষমতার কাছে অসহায় ছোট ভাই ইব্রাহীম। নিজের পৈত্রিক ভিটা বাড়ীর জমি নিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন চট্টগ্রাম মহানগরের পতেঙ্গার মো: ইব্রাহিম। ঠিকানা- মো: ইব্রাহীম, পিতা- মৃত আবদুস সোবহান, মাতা- মৃত মাহফুজা খাতুন, সাকিন- আবদুস সোবাহান বাড়ী, মুসলিমাবাদ, উত্তর পতেঙ্গা, ডাকঘর- উত্তর পতেঙ্গা, থানা- পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।

মনির আহমদের ক্ষমতার কাছে অসহায় হয়ে কোন উপায় না দেখে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি। তারপরও তিনি রেহায় পাচ্ছে না প্রভাবশালী মনির আহমদের কাছ থেকে । গত ০৭/১১/২১ইং তারিখ পতেঙ্গা মডেল থানায় জিডি’র সুত্র ধরেই এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। জিডিতে উল্লেখিত স্বপন পিতা-অজ্ঞাত, সাং অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার ঘেরা বেড়া ভেঙ্গে নিজস্ব জমিতে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে ইব্রাহীম বাঁধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে ইব্রাহীমকে মারার জন্য আসলে এলাকার মানুষের সহায়তায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান বলে জানা যায়।

স্বপন কেন কি কারণে তার জমিতে অনুপ্রবেশ করছে সেই বিষয়ে ০১৮৪৩-০৯২৬৯৭ জানতে চাইলে স্বপন দাশের স্ত্রী লক্ষী দাশ ফোন ধরেন। স্বপন দাশের বিষয়ে জানতে চাইলে তার স্ত্রী লক্ষী দাশ বলেন, আমার স্বামী একজন চাকরীজীবি। তিনি পদ্মা ওয়েল কোম্পানীতে চাকুরী করেন।

লক্ষী দাশ বলেন, ২০২০ আমি জমিটি মনির আহমদের কাছ থেকে বায়না করি। বায়না সুত্রে আমি জমির মালিক। পরে আমি মনির আহমদের কাছ থেকে জমি রেজিষ্ট্রারী নিই। জমি রেজিষ্টারী করলেও মনির আহমদ জায়গা লক্ষী দাশকে বুঝিয়ে দেয়নি। লক্ষী দাশ, স্বামী-স্বপন দাশ, তারা চট্টগ্রাম জেলার রাউজানের অধিবাসী। শহরে চাকরী করার সুবাধে তারা জমিটি মনির আহমদের কাছ থেকে ক্রয় করেন।

উল্লেখ্য, মনির আহমদ হলো ইব্রাহীমের বড় ভাই। এটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। সেই সুবাধে এক এক ভাই এক জায়গায় জমি দখলে আছে। ভাগাভাটোরায় দীর্ঘদিন থেকে যে যেখানে অবস্থান করছে সেখানেই আছে। হয়তোবা মুসলীম আইন অনুযায়ী বড় ভাই পশ্চিম বা দক্ষিণ দিকে পাবে। ছোট ভাই পূর্ব বা উত্তর দিকে পাবে। ছয় (৬) ভাইয়ের মধ্যে এখনো পুরোপুরি সম্পত্তি ভাগ ভাটোয়ারা হয়নি। মনির আহমদের সন্তান বেশী । ছেলে মেয়ে সবাই বিবাহিত । সব সময় সন্তানদের ক্ষমতা দেখিয়ে ইব্রাহীমকে বঞ্চিত করতে চাই বড় ভাই মনির আহমদ।

জমি বিক্রেতা মনির আহমদেও পুত্র আলী নুরের কাছে ০১৮২২-৩২২৩৯০ এই নাম্বারে উক্ত জমির বিষেয়ে জানতে চাইলে তিনি দি ক্রাইম প্রতিবেদকের ফোনটি রিসভি করেননি।

এই বিষয়ে ইব্রাহীমের কাছে ০১৬২২-১১৫৪৩৪ ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি । মনির আহমদ আমার বড় ভাই। তিনি জোর করেই আমার জায়গা দখলে আছে। তার জায়গা সে যেখানে খুশি বিক্রি করুক। তাতে আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্তু আমার জায়গাটা আমাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। আমিতো আর জায়গা ক্রয় করিনি। আমার পৈত্রিক সম্পত্তি আর একজন কিভাবে নিবে। লক্ষী দাশ জমি কেনার আগে তার স্বামী স্বপন দাশকে বলেছি এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা আছে আপনি মামলা নি:স্পত্তি হলে ক্রয় করিয়েন । তিনি তা না শুনে জমি ক্রয় করেছে।

উল্লেখ্য যে, মনির আহমদ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বাড়ী নির্মাণ করেন। যার কারণে ইমারত আইনে মনির আহমদ, আলী নুর, মো: জাহাঙ্গীর, মো: আলমগীর ও মো: হারুন এর বিরুদ্ধে মামলা হয়। ইমারত নির্মাণ আইনের ১৯৫২এর ১২(১) ধারায় মামলা হয় । যার মামলা নং ০৫/২০২০ইং। মামলায় সাজাও হয়। তাদেরকে আলাদত ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২লক্ষ,৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে তিন(০৩) মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

আরো উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম ৩য় সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার নিমিত্তে একটি মামলা হয়। যার মামলা নং ১৫১৫/২১ইং। তারিখ ১৬/১১/২১ইং। উক্ত মামলায় বাদী হল মো: ইব্রাহীম, পিতা- মৃত আবদুস সোবহান, মাতা- মৃত মাহফুজা খাতুন, সাকিন- আবদুস সোবাহান বাড়ী, মুসলিমাবাদ, উত্তর পতেঙ্গা, ডাকঘর- উত্তর পতেঙ্গা, থানা- পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম। বিবাদী করা হয়েছে , মনির আহমদ পিতা-মৃত আবদৃস ছোবাহান, তাজ মোহাম্মদ, পিতা-ঐ, নুর মোহাম্মাদ, পিতা- ঐ, কবির আহমদ, পিতা- ঐ, সর্ব সাকিন আবদুস সোবাহান বাড়ী, মুসলিমাবাদ, উত্তর পতেঙ্গা, ডাকঘর- উত্তর পতেঙ্গা, থানা- পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম। উক্ত মামলা এখনো আদালতে চলমান আছে। এখনো পর্যন্ত মামলা নি:স্পত্তি হয়নি।

যে জমি নিয়ে মামলা চলমান আছে সেই জমির তফসিল-১ চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা ধানাধীন উত্তর পতেঙ্গা মৌজার আর.এস খতিয়ান ২৪০৫ এর অর্ন্তভূক্ত আর.এস দাগ ২৭৯ আন্দর তৎ সামিল বি.এস খতিয়ান ১৪৫৭ এর বি.এস দাগ ৮২০ এর আন্দও ০১৯০৮ শতাংশ ভিটি।

তফসিল-২ (নালিশী) (১নং তফসিল অধীন) চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা ধানাধীন উত্তর পতেঙ্গা মৌজার আর.এস খতিয়ান ২৪০৫ এর অর্ন্তভূক্ত আর.এস দাগ ২৭৯ আন্দর তৎ সামিল বি.এস খতিয়ান ১৪৫৭ এর বি.এস নামজারী খতিয়ান ১৪৫৭/১ এর অধীন ৫৯০৫নং নামজারী খতিয়ান বি.এস দাগ ৮২০ আন্দর মোয়াজী ০৬৫০ শতাংশ ভিটি ও চলাচলের রাস্তা আপোষ বন্টননামা দলিলের হাত নকশার চিহিৃত ভিটি।

তফসিল-৩ (নালিশী) (১নং তফসিল অধীন) চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা ধানাধীন উত্তর পতেঙ্গা মৌজার আর.এস খতিয়ান ২৪০৫ এর অর্ন্তভূক্ত আর.এস দাগ ২৭৯ আন্দর তৎ সামিল বি.এস খতিয়ান ১৪৫৭ এর বি.এস নামজারী খতিয়ান ১৪৫৭/১ এর বি.এস দাগ ৮২০ আন্দর ০৫০ শতাংশ ভিটি ও চলাচলের রাস্তা বন্টননামা দলিলের হাত নকশা।

তফসিল-৪ (নালিশী) (১নং তফসিল অধীন) চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা ধানাধীন উত্তর পতেঙ্গা মৌজার আর.এস খতিয়ান ২৪০৫ এর অর্ন্তভূক্ত আর.এস দাগ ২৭৯ আন্দর তৎ সামিল বি.এস খতিয়ান ১৪৫৭ এর বি.এস নামজারী খতিয়ান ১৪৫৭/১ এর নামজারী খতিয়ান ৭৩৬৪ বি.এস দাগ ৮২০ আন্দর মোয়াজী ০২৩২ শতাংশ ভিটি ও চলাচলের রাস্তা আপোষনামা দলিলের হাত নকশা।

উক্ত বিষয়ে দি ক্রাইম প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলে জানতে পারেন যে, আবদুস সোবাহানের ছোট ছেলে মো: ইব্রাহীম। বাবার সম্পত্তিতে সকল ভাইয়ের অধিকার আছে। ইব্রাহীমের সম্পত্তিটা ইব্রাহীমকে বুঝিয়ে দিলেও তো হলো। ইব্রাহীমতো আর বেশী সম্পত্তি দাবী করতেছে না । তার ন্যায্য পাওনাটা চাচ্ছে ।

স্বপন দাশের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, স্বপন দাশ রাউজানের মানুষ। পদ্মা ওয়েল কোম্পানীতে চাকুরী করেন। চাকরীরর সুবাধে এখানে বাসা ভাড়া করে থাকেন। মামলা থাকা শর্তেও তার স্ত্রী লক্ষী দাশের নামে জমিটা কিনেছে। মনির আহমদের উচিৎ সকল ভাই বোনদের সাথে নিয়ে ইব্রাহীমের সম্পত্তি ইব্রাহীমকে দেওয়া এবং লক্ষী দাশকে যতটুকু বিক্রি করেছে ততটুক লক্ষী দাশকে দেওয়া।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, মনির আহমদের চার সন্তান সবাই বিবাহিত । মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। জন সংখ্যায় বেশী। তাই গায়ের জোরে ক্ষমতা দেখিয়ে ইব্রাহীমকে সম্পত্তি না দিয়ে উচ্ছেদ করতে চাই। যদি ইব্রাহীম মামলা না করতো থানায় জিডি না করতো তাহলে এতদিন এলাকায় ঠিকে থাকতে পারতো না। ইব্রাহীমের মাত্র ছোট ছোট দুইটা মেয়ে। বেচার আর্থিকভাবেও দুর্বল। একমাত্র প্রশাসন তাকে সহযোগীতা করলে ন্যায় বিচার পাবে। তা না হলে ইব্রাহীমের এলাকায় থাকাও কষ্টকর হবে।

ক্রাইম প্রতিবেদক : ছোট ভাইকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছে বড় ভাই মনির আহমদ। বড় ভাই মনির আহমদের ক্ষমতার কাছে অসহায় ছোট ভাই ইব্রাহীম। নিজের পৈত্রিক ভিটা বাড়ীর জমি নিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন চট্টগ্রাম মহানগরের পতেঙ্গার মো: ইব্রাহিম। ঠিকানা- মো: ইব্রাহীম, পিতা- মৃত আবদুস সোবহান, মাতা- মৃত মাহফুজা খাতুন, সাকিন- আবদুস সোবাহান বাড়ী, মুসলিমাবাদ, উত্তর পতেঙ্গা, ডাকঘর- উত্তর পতেঙ্গা, থানা- পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।

মনির আহমদের ক্ষমতার কাছে অসহায় হয়ে কোন উপায় না দেখে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি। তারপরও তিনি রেহায় পাচ্ছে না প্রভাবশালী মনির আহমদের কাছ থেকে । গত ০৭/১১/২১ইং তারিখ পতেঙ্গা মডেল থানায় জিডি’র সুত্র ধরেই এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। জিডিতে উল্লেখিত স্বপন পিতা-অজ্ঞাত, সাং অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার ঘেরা বেড়া ভেঙ্গে নিজস্ব জমিতে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে ইব্রাহীম বাঁধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে ইব্রাহীমকে মারার জন্য আসলে এলাকার মানুষের সহায়তায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান বলে জানা যায়।

স্বপন কেন কি কারণে তার জমিতে অনুপ্রবেশ করছে সেই বিষয়ে ০১৮৪৩-০৯২৬৯৭ জানতে চাইলে স্বপন দাশের স্ত্রী লক্ষী দাশ ফোন ধরেন। স্বপন দাশের বিষয়ে জানতে চাইলে তার স্ত্রী লক্ষী দাশ বলেন, আমার স্বামী একজন চাকরীজীবি। তিনি পদ্মা ওয়েল কোম্পানীতে চাকুরী করেন।

লক্ষী দাশ বলেন, ২০২০ আমি জমিটি মনির আহমদের কাছ থেকে বায়না করি। বায়না সুত্রে আমি জমির মালিক। পরে আমি মনির আহমদের কাছ থেকে জমি রেজিষ্ট্রারী নিই। জমি রেজিষ্টারী করলেও মনির আহমদ জায়গা লক্ষী দাশকে বুঝিয়ে দেয়নি। লক্ষী দাশ, স্বামী-স্বপন দাশ, তারা চট্টগ্রাম জেলার রাউজানের অধিবাসী। শহরে চাকরী করার সুবাধে তারা জমিটি মনির আহমদের কাছ থেকে ক্রয় করেন।

উল্লেখ্য, মনির আহমদ হলো ইব্রাহীমের বড় ভাই। এটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। সেই সুবাধে এক এক ভাই এক জায়গায় জমি দখলে আছে। ভাগাভাটোরায় দীর্ঘদিন থেকে যে যেখানে অবস্থান করছে সেখানেই আছে। হয়তোবা মুসলীম আইন অনুযায়ী বড় ভাই পশ্চিম বা দক্ষিণ দিকে পাবে। ছোট ভাই পূর্ব বা উত্তর দিকে পাবে। ছয় (৬) ভাইয়ের মধ্যে এখনো পুরোপুরি সম্পত্তি ভাগ ভাটোয়ারা হয়নি। মনির আহমদের সন্তান বেশী । ছেলে মেয়ে সবাই বিবাহিত । সব সময় সন্তানদের ক্ষমতা দেখিয়ে ইব্রাহীমকে বঞ্চিত করতে চাই বড় ভাই মনির আহমদ।

জমি বিক্রেতা মনির আহমদেও পুত্র আলী নুরের কাছে ০১৮২২-৩২২৩৯০ এই নাম্বারে উক্ত জমির বিষেয়ে জানতে চাইলে তিনি দি ক্রাইম প্রতিবেদকের ফোনটি রিসভি করেননি।

এই বিষয়ে ইব্রাহীমের কাছে ০১৬২২-১১৫৪৩৪ ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি । মনির আহমদ আমার বড় ভাই। তিনি জোর করেই আমার জায়গা দখলে আছে। তার জায়গা সে যেখানে খুশি বিক্রি করুক। তাতে আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্তু আমার জায়গাটা আমাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। আমিতো আর জায়গা ক্রয় করিনি। আমার পৈত্রিক সম্পত্তি আর একজন কিভাবে নিবে। লক্ষী দাশ জমি কেনার আগে তার স্বামী স্বপন দাশকে বলেছি এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা আছে আপনি মামলা নি:স্পত্তি হলে ক্রয় করিয়েন । তিনি তা না শুনে জমি ক্রয় করেছে।

উল্লেখ্য যে, মনির আহমদ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বাড়ী নির্মাণ করেন। যার কারণে ইমারত আইনে মনির আহমদ, আলী নুর, মো: জাহাঙ্গীর, মো: আলমগীর ও মো: হারুন এর বিরুদ্ধে মামলা হয়। ইমারত নির্মাণ আইনের ১৯৫২এর ১২(১) ধারায় মামলা হয় । যার মামলা নং ০৫/২০২০ইং। মামলায় সাজাও হয়। তাদেরকে আলাদত ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২লক্ষ,৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে তিন(০৩) মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

আরো উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম ৩য় সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার নিমিত্তে একটি মামলা হয়। যার মামলা নং ১৫১৫/২১ইং। তারিখ ১৬/১১/২১ইং। উক্ত মামলায় বাদী হল মো: ইব্রাহীম, পিতা- মৃত আবদুস সোবহান, মাতা- মৃত মাহফুজা খাতুন, সাকিন- আবদুস সোবাহান বাড়ী, মুসলিমাবাদ, উত্তর পতেঙ্গা, ডাকঘর- উত্তর পতেঙ্গা, থানা- পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম। বিবাদী করা হয়েছে , মনির আহমদ পিতা-মৃত আবদৃস ছোবাহান, তাজ মোহাম্মদ, পিতা-ঐ, নুর মোহাম্মাদ, পিতা- ঐ, কবির আহমদ, পিতা- ঐ, সর্ব সাকিন আবদুস সোবাহান বাড়ী, মুসলিমাবাদ, উত্তর পতেঙ্গা, ডাকঘর- উত্তর পতেঙ্গা, থানা- পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম। উক্ত মামলা এখনো আদালতে চলমান আছে। এখনো পর্যন্ত মামলা নি:স্পত্তি হয়নি।

যে জমি নিয়ে মামলা চলমান আছে সেই জমির তফসিল-১ চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা ধানাধীন উত্তর পতেঙ্গা মৌজার আর.এস খতিয়ান ২৪০৫ এর অর্ন্তভূক্ত আর.এস দাগ ২৭৯ আন্দর তৎ সামিল বি.এস খতিয়ান ১৪৫৭ এর বি.এস দাগ ৮২০ এর আন্দও ০১৯০৮ শতাংশ ভিটি।

তফসিল-২ (নালিশী) (১নং তফসিল অধীন) চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা ধানাধীন উত্তর পতেঙ্গা মৌজার আর.এস খতিয়ান ২৪০৫ এর অর্ন্তভূক্ত আর.এস দাগ ২৭৯ আন্দর তৎ সামিল বি.এস খতিয়ান ১৪৫৭ এর বি.এস নামজারী খতিয়ান ১৪৫৭/১ এর অধীন ৫৯০৫নং নামজারী খতিয়ান বি.এস দাগ ৮২০ আন্দর মোয়াজী ০৬৫০ শতাংশ ভিটি ও চলাচলের রাস্তা আপোষ বন্টননামা দলিলের হাত নকশার চিহিৃত ভিটি।

তফসিল-৩ (নালিশী) (১নং তফসিল অধীন) চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা ধানাধীন উত্তর পতেঙ্গা মৌজার আর.এস খতিয়ান ২৪০৫ এর অর্ন্তভূক্ত আর.এস দাগ ২৭৯ আন্দর তৎ সামিল বি.এস খতিয়ান ১৪৫৭ এর বি.এস নামজারী খতিয়ান ১৪৫৭/১ এর বি.এস দাগ ৮২০ আন্দর ০৫০ শতাংশ ভিটি ও চলাচলের রাস্তা বন্টননামা দলিলের হাত নকশা।

তফসিল-৪ (নালিশী) (১নং তফসিল অধীন) চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা ধানাধীন উত্তর পতেঙ্গা মৌজার আর.এস খতিয়ান ২৪০৫ এর অর্ন্তভূক্ত আর.এস দাগ ২৭৯ আন্দর তৎ সামিল বি.এস খতিয়ান ১৪৫৭ এর বি.এস নামজারী খতিয়ান ১৪৫৭/১ এর নামজারী খতিয়ান ৭৩৬৪ বি.এস দাগ ৮২০ আন্দর মোয়াজী ০২৩২ শতাংশ ভিটি ও চলাচলের রাস্তা আপোষনামা দলিলের হাত নকশা।

উক্ত বিষয়ে দি ক্রাইম প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলে জানতে পারেন যে, আবদুস সোবাহানের ছোট ছেলে মো: ইব্রাহীম। বাবার সম্পত্তিতে সকল ভাইয়ের অধিকার আছে। ইব্রাহীমের সম্পত্তিটা ইব্রাহীমকে বুঝিয়ে দিলেও তো হলো। ইব্রাহীমতো আর বেশী সম্পত্তি দাবী করতেছে না । তার ন্যায্য পাওনাটা চাচ্ছে ।

স্বপন দাশের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, স্বপন দাশ রাউজানের মানুষ। পদ্মা ওয়েল কোম্পানীতে চাকুরী করেন। চাকরীরর সুবাধে এখানে বাসা ভাড়া করে থাকেন। মামলা থাকা শর্তেও তার স্ত্রী লক্ষী দাশের নামে জমিটা কিনেছে। মনির আহমদের উচিৎ সকল ভাই বোনদের সাথে নিয়ে ইব্রাহীমের সম্পত্তি ইব্রাহীমকে দেওয়া এবং লক্ষী দাশকে যতটুকু বিক্রি করেছে ততটুক লক্ষী দাশকে দেওয়া।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, মনির আহমদের চার সন্তান সবাই বিবাহিত । মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। জন সংখ্যায় বেশী। তাই গায়ের জোরে ক্ষমতা দেখিয়ে ইব্রাহীমকে সম্পত্তি না দিয়ে উচ্ছেদ করতে চাই। যদি ইব্রাহীম মামলা না করতো থানায় জিডি না করতো তাহলে এতদিন এলাকায় ঠিকে থাকতে পারতো না। ইব্রাহীমের মাত্র ছোট ছোট দুইটা মেয়ে। বেচার আর্থিকভাবেও দুর্বল। একমাত্র প্রশাসন তাকে সহযোগীতা করলে ন্যায় বিচার পাবে। তা না হলে ইব্রাহীমের এলাকায় থাকাও কষ্টকর হবে।