বিশেষ প্রতিবেদক :মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামের মানুষকে আশ্বাস দিয়েছিল। চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব আমি নিজের হাতে নিয়েছি। তিনি সেই ওয়াদা রেখেছে। কথা দিয়ে কথা রাখার নামই শেখ হাসিনা। সারা বাংলাদেশে দৃশ্যমান যে সকল মেঘা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে তার মধ্যে সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক মেঘা প্রকল্প চট্টগ্রামে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সেই জন্য তিনি প্রকল্পসমুহ বাস্তবায়নের বাজেটও দিয়েছেন মনের মতো করে।
চট্টগ্রাম মহানগরকে সাজানোর পুরোপুরি দায়িত্ব চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। সেই হিসাব সবাই জানে। কারণ হাতকে আয়না দিয়ে দেখতে হয়না। যে সরিষা দিয়ে ভুত তাড়াবেন সেই সরিষার ভেতর যদি ভূত থাকে তাহলে ভূত তাড়াবে কি করে ? সিডিএ এর ইতিহাসে দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান হিসাবে স্বর্ণাক্ষরে আবদুস সালামের নাম লেখা থাকবে। সেই হিসাবে লেখা থাকবে একজন স্বেচ্ছাচারী এক ঘুয়েমী সচিব হিসাবে তাহেরা ফেরদৌসের নাম। চেয়ারম্যান আবদুস সালামের আমলে একজন কর্মচারীরও পদোন্নতি হয়নি। যাওয়ার বেলায় দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যানকে মোহরা থেকে লোক এনে লোক দেখানো বিদায় নিয়ে যেতে হয়েছে।

কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুখ দুঃখ দেখার দেখার কথা চউকের সচিবের। তিনি কোন কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুখ দুঃখ দেখবে বরং উল্টো তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দিয়েছেন। তাহেরা ফেরদৌসের ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে অনিয়মই নিয়মের পরিনত হয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)কে। কিছুতেই থামছেই না চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তার দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতা। তাহলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কি আইনের উর্দ্ধে ? কি দৃশ্য শক্তির বলয়ে তারা আবার বহাল তবিয়তে চলছে সাধারণের বোধগম্য নয়। বোর্ড সভার মিটিংকে পর্যন্ত বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চলছে এই অসাধু দুর্নীতিবাজ জোট। কথায় আছে বাইরের রাজনীতির চেয়ে অফিসের রাজনীতি বড়ই জটিল। জাতীয় রাজনীতির চেয়ে তৃণমুলের রাজনীতি।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে এমন একটি জোট বা সিন্ডিকেট আছে না তারা নিয়ম মানছে, না তাদের দুর্নীতি থামানো যাচ্ছে। মাঝখানে বিশাল অংঙ্কের কাজ কারবার। তাদের লাগাম টেনে ধরবে কে? যে ক’জন চুনোপুটি সৎ কর্মচারী কর্মকর্তা আছে তাদেরও বেহাল দশা । আসল প্রশ্ন বিড়ালের গলায় ঘন্টি বাঁধবে কে? কথায় আছে কাক কাকের মাংস খায় না । কিন্তু চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দৃশ্য দেখলে সেই পাখি কাকও লজ্জা পাবে।

গত ২৯/০৭/২০২১ইং তারিখ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক শাখা-৬ থেকে উপসচিব লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত ২৫.০০.০০০০.০১৯.০২.২০০৪.৩২৯ স্মারকে একটি চিঠির সুত্র ধরেই আজকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।

চিঠির বিষয় বস্তুতে উল্লেখ্য করা হয়েছে, জনাব মো: জয়নাল আবেদীন ও মিসেস জান্নাতুল ফেরদৌস অগান্তুকদ্বয়কে সহকারী নগর পরিকল্পনাবিধ(এটিপি) পদে পদোন্নতির দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয়ে বে-আইনীভাবে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাতিল করিয়া বাছাই কমিটির সুপারিশকৃতদের পদোন্নতি প্রদানের আবেদন করেন।
এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জনাব আলমগীর, নকশাবিদ, পরিকল্পনা বিভাগ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম এবং মানিক চন্দ্র ভৌমিক, নকশাবিদ, অথরাইজশান বিভাগ-১, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রামকে বোর্ড সভার রেজুলেশান অনুযায়ী পদোন্নতির নির্দেশ প্রদান করেন। নির্দেশের এতদিন পরেও উক্ত চিঠির বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়ার জন্য গত ১৮/০৪/২০১৯ইং তারিখে চউক বোর্ডের ৪৩৫তম সভায় একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আলমগীর, নকশাবিদ, পরিকল্পনা বিভাগ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম এবং মানিক চন্দ্র ভৌমিক, নকশাবিদ, অথরাইজশান বিভাগ-১, পদোন্নতি পাওয়ার কথা রেজুলেশান আকারে থাকলেও কোন অদৃশ্য শক্তির কালো থাবায় তাদের পরিবর্তে মো: জয়নাল আবেদীন ও জান্নাতুল ফেরদৌসকে পদোন্নতি দেওয়া হয় তা বোদগম্য নয়।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৮ এর ৬ষ্ঠ অধ্যায়ের বিধি-৪১ এর উপবিধি-(১) ও (২) ধারা অনুসারে চউক এর বিদ্যামন জনবল বা সাংগঠনিক কাঠামো এবং চাকুরী প্রনিধিমালা. ১৯৯০ দ্বারা পরিচালিত, নিয়ন্ত্রিত ও নির্ধারণ হয়। তৎমধ্যে উক্ত চাকুরী প্রনিধিমালার বিধি-৪ অনুযায়ী চউক কর্মচারীদের পদোন্নতি জন্য চউক বোর্ডের গত ০৮/০৪/২০১৯ইং তারিখে ৪০৪তম সভায় বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত বাছাই কমিটি পদোন্নতিযোগ্য কর্মচারীদের সুপারিশসহ একটি তালিকা তৈরী করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান।

উক্ত বাছাই কমিটির কার্যবিবরণীতে ৫নং আলোচ্য বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগের পদোন্নতি বিষয়ে যে সুপারিশ করা হয়েছিল তা হলো :

ফিডারপদ নগর পরিকল্পনাবিদ ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারী ১০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নকশাবিদ আমরা ১০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সার্ভেয়ার বা জিআইএস অপারেটর ৫ এটিপি কর্মরত থাকলেও তাদের মধ্যে ২জন এটিপি অননুমোদিতভাবে শিক্ষা ছুটিতে থাকায় তাদেরকে কারণ দর্শানো হলে একজন চাকুরী ইস্তফা দিয়ে পত্র দিয়েছেন। সে বিবেচনায় শুন্য পদ দাঁড়ায় ২টি। জিআইএস অপারেটর হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্তির জন্য যে শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন সে শিক্ষাগত যোগ্যতা মো: জয়নাল আবেদীন ও জান্নাতুল ফেরদৌসের নাই। শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও তারা কিভাবে এই পদে পদোন্নতি পেল তা সেই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।
গত ১৮/০৪/২০১৯ইং তারিখের ৪৩৫তম বোর্ড সভার কার্যবিবরণীর ৩নং আলোচ্য বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত বাস্তবায়ন না করে। যাদের সহকারী নকশাবিদ হিসাবে পদোন্নতি করার কথা তাদের বাদ দিয়ে মো: জয়নাল আবেদীন ও জান্নাতুল ফেরদৌস কে করা হয়েছে। এই পরিপত্রের কারণে বর্তমানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙ্গে পড়ছে প্রশাসনিক অবকাঠামো। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা, বর্তমান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং সর্বশেষ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক শাখা-৬ থেকে উপসচিব লুৎফুন নাহারের চিঠিকেও অবজ্ঞা করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে পদোন্নতি না পাওয়া কর্মকর্তা নকশাবিদ আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ১৯.০৪.১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চউক’কে নকশাবিদ হিসাবে চাকুরীতে যোগদান করেছি। তখন আমরা ৮ জন এক সাথে চাকুরীতে যোগদান করি। ৮ বৎসর পর পদোন্নতি হওয়ার কথা। বিভিন্ন কারণে পদোন্নতি হয়নি। ৩০ বছর পরে পদোন্নতি হয়েছে। কিন্তু আমার বেলায় হয়নি।

তিনি আক্ষেপ করে আরো বলেন, চউক ৪৩৫তম বোর্ড সভায় আমার পদোন্নতি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। চেয়ারম্যান হিসাবে আবদুস সালাম মহোদয় ও বোর্ড মেম্বারেরা আমার ও মানিক চন্দ্র ভৌমিকের ব্যাপারে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব চউক সচিবের। কিন্ত তৎকালীন চউক সচিব তাহেরা ফেরদৌস ৪৩৫তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তকে অমান্য বা অগ্রাহ্য করে পদোন্নতি দিয়েছেন জয়নাল আবেদীন ও জান্নাতুল ফেরদৌসকে।

উল্লেখ্য যে, তাহেরা ফেরদৌস সচিব হওয়ার আগে ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছিল। এমন কি চউক’কেরও ম্যাজিষ্ট্রেট ছিল। পরে সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেছিল। তিনি মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাসাজস করে এমন একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে গেছেন তা চউকের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে হতবাক করেছে। সেই বিষয়টি হলো চউক থেকে পদোন্নতি পেয়ে আর কেউ চউক এর সচিব হতে পারবে না।

এই বিষয়ে পদোন্নতি না পাওয়া কর্মকর্তা নকশাবিদ মানিক চন্দ্র ভৌমিকের সাথে চউক-এ যোগাযোগ করলে তার সহকর্মীরা বলেন, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে গেছেন।

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বর্তমান সচিব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি দি ক্রাইমের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় অনেক লেখা লেখি হয়েছে কিন্তু এই সব কথা কর্তৃপক্ষের কানের বাইরে। যেন দেখেও দেখে না। শুনেও শুনে না। এমনকি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কথাও তারা মানে না। এমনভাব মনে হয় সরকারী আইন অমান্যকারী আর একটি বিরোধী সরকার। এখানে প্রতিটি রন্ধে রন্ধে অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা আর দুর্নীতি ঘুষে ভরা। ভুক্তভোগিরা লিখিত অভিযোগ দিলেও এগুলোর কোন সুষ্ট তদন্ত হয় না। সরকারের অন্যান্য ওয়েব সাইটের চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটের কোন মিলই খোঁজে পাওয়া যায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ তথ্যের জন্য যে ডাটা সরকারী ওয়েব সাইটে যোগ করেছেন সেই রকম ওয়েব সাইটের ধারে-কাছেও নাই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ! অথচ সরকার এই ওয়েব সাইটের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ফি দিয়ে যাচ্ছে ।

বিশেষ প্রতিবেদক :মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামের মানুষকে আশ্বাস দিয়েছিল। চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব আমি নিজের হাতে নিয়েছি। তিনি সেই ওয়াদা রেখেছে। কথা দিয়ে কথা রাখার নামই শেখ হাসিনা। সারা বাংলাদেশে দৃশ্যমান যে সকল মেঘা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে তার মধ্যে সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক মেঘা প্রকল্প চট্টগ্রামে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সেই জন্য তিনি প্রকল্পসমুহ বাস্তবায়নের বাজেটও দিয়েছেন মনের মতো করে।
চট্টগ্রাম মহানগরকে সাজানোর পুরোপুরি দায়িত্ব চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। সেই হিসাব সবাই জানে। কারণ হাতকে আয়না দিয়ে দেখতে হয়না। যে সরিষা দিয়ে ভুত তাড়াবেন সেই সরিষার ভেতর যদি ভূত থাকে তাহলে ভূত তাড়াবে কি করে ? সিডিএ এর ইতিহাসে দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান হিসাবে স্বর্ণাক্ষরে আবদুস সালামের নাম লেখা থাকবে। সেই হিসাবে লেখা থাকবে একজন স্বেচ্ছাচারী এক ঘুয়েমী সচিব হিসাবে তাহেরা ফেরদৌসের নাম। চেয়ারম্যান আবদুস সালামের আমলে একজন কর্মচারীরও পদোন্নতি হয়নি। যাওয়ার বেলায় দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যানকে মোহরা থেকে লোক এনে লোক দেখানো বিদায় নিয়ে যেতে হয়েছে।

কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুখ দুঃখ দেখার দেখার কথা চউকের সচিবের। তিনি কোন কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুখ দুঃখ দেখবে বরং উল্টো তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দিয়েছেন। তাহেরা ফেরদৌসের ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে অনিয়মই নিয়মের পরিনত হয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)কে। কিছুতেই থামছেই না চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তার দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতা। তাহলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কি আইনের উর্দ্ধে ? কি দৃশ্য শক্তির বলয়ে তারা আবার বহাল তবিয়তে চলছে সাধারণের বোধগম্য নয়। বোর্ড সভার মিটিংকে পর্যন্ত বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চলছে এই অসাধু দুর্নীতিবাজ জোট। কথায় আছে বাইরের রাজনীতির চেয়ে অফিসের রাজনীতি বড়ই জটিল। জাতীয় রাজনীতির চেয়ে তৃণমুলের রাজনীতি।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে এমন একটি জোট বা সিন্ডিকেট আছে না তারা নিয়ম মানছে, না তাদের দুর্নীতি থামানো যাচ্ছে। মাঝখানে বিশাল অংঙ্কের কাজ কারবার। তাদের লাগাম টেনে ধরবে কে? যে ক’জন চুনোপুটি সৎ কর্মচারী কর্মকর্তা আছে তাদেরও বেহাল দশা । আসল প্রশ্ন বিড়ালের গলায় ঘন্টি বাঁধবে কে? কথায় আছে কাক কাকের মাংস খায় না । কিন্তু চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দৃশ্য দেখলে সেই পাখি কাকও লজ্জা পাবে।

গত ২৯/০৭/২০২১ইং তারিখ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক শাখা-৬ থেকে উপসচিব লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত ২৫.০০.০০০০.০১৯.০২.২০০৪.৩২৯ স্মারকে একটি চিঠির সুত্র ধরেই আজকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।

চিঠির বিষয় বস্তুতে উল্লেখ্য করা হয়েছে, জনাব মো: জয়নাল আবেদীন ও মিসেস জান্নাতুল ফেরদৌস অগান্তুকদ্বয়কে সহকারী নগর পরিকল্পনাবিধ(এটিপি) পদে পদোন্নতির দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয়ে বে-আইনীভাবে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাতিল করিয়া বাছাই কমিটির সুপারিশকৃতদের পদোন্নতি প্রদানের আবেদন করেন।
এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জনাব আলমগীর, নকশাবিদ, পরিকল্পনা বিভাগ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম এবং মানিক চন্দ্র ভৌমিক, নকশাবিদ, অথরাইজশান বিভাগ-১, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রামকে বোর্ড সভার রেজুলেশান অনুযায়ী পদোন্নতির নির্দেশ প্রদান করেন। নির্দেশের এতদিন পরেও উক্ত চিঠির বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়ার জন্য গত ১৮/০৪/২০১৯ইং তারিখে চউক বোর্ডের ৪৩৫তম সভায় একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আলমগীর, নকশাবিদ, পরিকল্পনা বিভাগ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম এবং মানিক চন্দ্র ভৌমিক, নকশাবিদ, অথরাইজশান বিভাগ-১, পদোন্নতি পাওয়ার কথা রেজুলেশান আকারে থাকলেও কোন অদৃশ্য শক্তির কালো থাবায় তাদের পরিবর্তে মো: জয়নাল আবেদীন ও জান্নাতুল ফেরদৌসকে পদোন্নতি দেওয়া হয় তা বোদগম্য নয়।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৮ এর ৬ষ্ঠ অধ্যায়ের বিধি-৪১ এর উপবিধি-(১) ও (২) ধারা অনুসারে চউক এর বিদ্যামন জনবল বা সাংগঠনিক কাঠামো এবং চাকুরী প্রনিধিমালা. ১৯৯০ দ্বারা পরিচালিত, নিয়ন্ত্রিত ও নির্ধারণ হয়। তৎমধ্যে উক্ত চাকুরী প্রনিধিমালার বিধি-৪ অনুযায়ী চউক কর্মচারীদের পদোন্নতি জন্য চউক বোর্ডের গত ০৮/০৪/২০১৯ইং তারিখে ৪০৪তম সভায় বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত বাছাই কমিটি পদোন্নতিযোগ্য কর্মচারীদের সুপারিশসহ একটি তালিকা তৈরী করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান।

উক্ত বাছাই কমিটির কার্যবিবরণীতে ৫নং আলোচ্য বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগের পদোন্নতি বিষয়ে যে সুপারিশ করা হয়েছিল তা হলো :

ফিডারপদ নগর পরিকল্পনাবিদ ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারী ১০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নকশাবিদ আমরা ১০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সার্ভেয়ার বা জিআইএস অপারেটর ৫ এটিপি কর্মরত থাকলেও তাদের মধ্যে ২জন এটিপি অননুমোদিতভাবে শিক্ষা ছুটিতে থাকায় তাদেরকে কারণ দর্শানো হলে একজন চাকুরী ইস্তফা দিয়ে পত্র দিয়েছেন। সে বিবেচনায় শুন্য পদ দাঁড়ায় ২টি। জিআইএস অপারেটর হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্তির জন্য যে শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন সে শিক্ষাগত যোগ্যতা মো: জয়নাল আবেদীন ও জান্নাতুল ফেরদৌসের নাই। শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও তারা কিভাবে এই পদে পদোন্নতি পেল তা সেই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।
গত ১৮/০৪/২০১৯ইং তারিখের ৪৩৫তম বোর্ড সভার কার্যবিবরণীর ৩নং আলোচ্য বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত বাস্তবায়ন না করে। যাদের সহকারী নকশাবিদ হিসাবে পদোন্নতি করার কথা তাদের বাদ দিয়ে মো: জয়নাল আবেদীন ও জান্নাতুল ফেরদৌস কে করা হয়েছে। এই পরিপত্রের কারণে বর্তমানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙ্গে পড়ছে প্রশাসনিক অবকাঠামো। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা, বর্তমান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং সর্বশেষ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক শাখা-৬ থেকে উপসচিব লুৎফুন নাহারের চিঠিকেও অবজ্ঞা করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে পদোন্নতি না পাওয়া কর্মকর্তা নকশাবিদ আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ১৯.০৪.১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চউক’কে নকশাবিদ হিসাবে চাকুরীতে যোগদান করেছি। তখন আমরা ৮ জন এক সাথে চাকুরীতে যোগদান করি। ৮ বৎসর পর পদোন্নতি হওয়ার কথা। বিভিন্ন কারণে পদোন্নতি হয়নি। ৩০ বছর পরে পদোন্নতি হয়েছে। কিন্তু আমার বেলায় হয়নি।

তিনি আক্ষেপ করে আরো বলেন, চউক ৪৩৫তম বোর্ড সভায় আমার পদোন্নতি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। চেয়ারম্যান হিসাবে আবদুস সালাম মহোদয় ও বোর্ড মেম্বারেরা আমার ও মানিক চন্দ্র ভৌমিকের ব্যাপারে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব চউক সচিবের। কিন্ত তৎকালীন চউক সচিব তাহেরা ফেরদৌস ৪৩৫তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তকে অমান্য বা অগ্রাহ্য করে পদোন্নতি দিয়েছেন জয়নাল আবেদীন ও জান্নাতুল ফেরদৌসকে।

উল্লেখ্য যে, তাহেরা ফেরদৌস সচিব হওয়ার আগে ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছিল। এমন কি চউক’কেরও ম্যাজিষ্ট্রেট ছিল। পরে সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেছিল। তিনি মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাসাজস করে এমন একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে গেছেন তা চউকের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে হতবাক করেছে। সেই বিষয়টি হলো চউক থেকে পদোন্নতি পেয়ে আর কেউ চউক এর সচিব হতে পারবে না।

এই বিষয়ে পদোন্নতি না পাওয়া কর্মকর্তা নকশাবিদ মানিক চন্দ্র ভৌমিকের সাথে চউক-এ যোগাযোগ করলে তার সহকর্মীরা বলেন, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে গেছেন।

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বর্তমান সচিব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি দি ক্রাইমের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় অনেক লেখা লেখি হয়েছে কিন্তু এই সব কথা কর্তৃপক্ষের কানের বাইরে। যেন দেখেও দেখে না। শুনেও শুনে না। এমনকি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কথাও তারা মানে না। এমনভাব মনে হয় সরকারী আইন অমান্যকারী আর একটি বিরোধী সরকার। এখানে প্রতিটি রন্ধে রন্ধে অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা আর দুর্নীতি ঘুষে ভরা। ভুক্তভোগিরা লিখিত অভিযোগ দিলেও এগুলোর কোন সুষ্ট তদন্ত হয় না। সরকারের অন্যান্য ওয়েব সাইটের চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটের কোন মিলই খোঁজে পাওয়া যায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ তথ্যের জন্য যে ডাটা সরকারী ওয়েব সাইটে যোগ করেছেন সেই রকম ওয়েব সাইটের ধারে-কাছেও নাই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ! অথচ সরকার এই ওয়েব সাইটের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ফি দিয়ে যাচ্ছে ।