পঞ্চগড় প্রতিনিধি:  পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ঝলই শালসিড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরই নির্বাচনী মাঠ নিজেদের দখলে রাখতে সন্ত্রাসী আক্রমণ শুরু করেছে আবুল হোসেন চেয়ারম্যান এর লোকেরা। এলাকার তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বিষয়ে আক্রমণ করে বসছে ভোট দেবে না এমন সাধারণ মানুষদের।

সূত্রে জানা গেছে , আবুল হোসেন চেয়ারম্যানের দক্ষিণহস্ত বলে খ্যাত ভূমিদস্যু বাবুলকে, লোকে তাকে ” বেড়াভাংগা বাবুল ” নামেই চেনে। আবুল হোসেন চেয়ারম্যান এর ঈশারায়, বাবুলের ছকে এবং মদদে চলে এই ভূমি দখল। তার চাচা সুভা সুজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমান স্কুলে পাঠদান থেকে বেড়িয়ে একদল সন্ত্রাসীসহ (যারা সকলেই আবুল হোসেন এর অনুসারী) ঝালই শালসিড়ি ইউনিয়ন এর কালিয়াগঞ্জ এলাকায় ক্ষেত চাষের সময় প্রতিপক্ষের উপর হামলা করে। এই হামলায় আহত হয় বেশ কয়েকজন। তন্মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর । আহতদের কয়েকজনকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্রেক্সে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দিলেও পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় এই তিনজনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । আহতরা হলেন, ইউনুস আলী , মোশাররফ হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, দবিরুল ও ছালাম । তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।

এই ঘটনায় বিষয়ে বিস্তারিত জানান, আহতের নিকটজন । কালিয়াগঞ্জ এর কিসমতপুর বাহাদুর নারায়নী মৌজায় ২২ নং খতিয়ানের ১৯৯৩ দাগের ৩৫ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছেন ইউনুস আলীরা। ২০২০ সালে হঠাৎ করেই কালিয়াগঞ্জ এলাকার মৃত রহিমউদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমান ও তাঁর পরিবার ওই জমির মালিকানা দাবি করেন। তাঁরা জোটবদ্ধভাবে চাষাবাদ করতে বাধা দেন। ইউনুস আলীর ভাই তছলিম উদ্দিন বাদী হয়ে পঞ্চগড় সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা করেন। গত ২১ নভেম্বর আদালত মামলার রায় দেন। রায়ে ওই জমির প্রকৃত মালিক হিসেবে ইউনুস আলী ও তাঁর ভাইদের পক্ষে রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ের পর তাঁরা জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দেওয়া শুরু করেন। ঠিক তখনই স্কুল শিক্ষক আজিজার রহমানের নেতৃত্বে ২০ / ৩০ জন লাঠিয়াল বাহিনী ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। আর আজিজার রহমান স্কুলের ডিউটি থেকে বেড়িয়ে এই হামলার নেতৃত্ব দেয়। এ সময় চার জন আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ।

উল্লেখ্য যে, আজিজার রহমান স্থানীয় সুভা সুজন প্রথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলেও আবুল হোসেন চেয়ারম্যান গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। স্কুল চলাকালীন সময়ে কেন তিনি হামলায় অংশ নিলেন তা জানতে আমাদের প্রতিনিধি কথা বলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদ হাসানের সাথে।

তিনি জানান ” ঘটনা জেনেছি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ” অন্যদিকে হামলা হবার পরও আহতদের পক্ষে এখনও কোন মামলা দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে। তবে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, ঘটনা জেনেছি কোন পক্ষই মামলা বা অভিযোগ দিতে আসেনি। অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এইদিকে জাল দলিল তৈরী করে ভূমি দখলের আরও বেশকিছু আবুল,বাবুল ও আজিজার গংদের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, প্রতারণার অভিযোগে অন্য একটি মামলায় আদালত ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছিল। কৃষি জমি চাষাবাদ নিয়ে সংঘর্ষ হলেও পর্যবেক্ষকরা দেখছেন বিষয়টি একটু ভিন্ন ভাবে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজের সন্ত্রাসী অবস্থান জানান দিতেও হতে পারে এই সংঘর্ষ। কারণ মনোনয়ন যারা দাখিল করেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন রয়েছে শক্ত প্রতিপক্ষ। তাদের ভীত সন্ত্রস্ত করে ঘরে বসিয়ে রাখতেই হতে পারে এই আয়োজন। ঠিক গেল ঝলই শালসিড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্ররাম্ভে এমন ঘটনাই আবুলের লোকেরা ঘটিয়ে প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রেখে নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে ভোট দানে বাধা দিয়ে নির্বাচিত হয়েছিল। তাই গত এই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের অসুস্থ্য ঘটনারই পুনঃরাবৃত্তি শুরু হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। তাই প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ ছাড়া এই ইউনিয়নে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে এমনা আশা করা বৃথা বলেই মনে হয়।

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:  পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ঝলই শালসিড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরই নির্বাচনী মাঠ নিজেদের দখলে রাখতে সন্ত্রাসী আক্রমণ শুরু করেছে আবুল হোসেন চেয়ারম্যান এর লোকেরা। এলাকার তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বিষয়ে আক্রমণ করে বসছে ভোট দেবে না এমন সাধারণ মানুষদের।

সূত্রে জানা গেছে , আবুল হোসেন চেয়ারম্যানের দক্ষিণহস্ত বলে খ্যাত ভূমিদস্যু বাবুলকে, লোকে তাকে ” বেড়াভাংগা বাবুল ” নামেই চেনে। আবুল হোসেন চেয়ারম্যান এর ঈশারায়, বাবুলের ছকে এবং মদদে চলে এই ভূমি দখল। তার চাচা সুভা সুজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমান স্কুলে পাঠদান থেকে বেড়িয়ে একদল সন্ত্রাসীসহ (যারা সকলেই আবুল হোসেন এর অনুসারী) ঝালই শালসিড়ি ইউনিয়ন এর কালিয়াগঞ্জ এলাকায় ক্ষেত চাষের সময় প্রতিপক্ষের উপর হামলা করে। এই হামলায় আহত হয় বেশ কয়েকজন। তন্মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর । আহতদের কয়েকজনকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্রেক্সে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দিলেও পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় এই তিনজনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । আহতরা হলেন, ইউনুস আলী , মোশাররফ হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, দবিরুল ও ছালাম । তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।

এই ঘটনায় বিষয়ে বিস্তারিত জানান, আহতের নিকটজন । কালিয়াগঞ্জ এর কিসমতপুর বাহাদুর নারায়নী মৌজায় ২২ নং খতিয়ানের ১৯৯৩ দাগের ৩৫ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছেন ইউনুস আলীরা। ২০২০ সালে হঠাৎ করেই কালিয়াগঞ্জ এলাকার মৃত রহিমউদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমান ও তাঁর পরিবার ওই জমির মালিকানা দাবি করেন। তাঁরা জোটবদ্ধভাবে চাষাবাদ করতে বাধা দেন। ইউনুস আলীর ভাই তছলিম উদ্দিন বাদী হয়ে পঞ্চগড় সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা করেন। গত ২১ নভেম্বর আদালত মামলার রায় দেন। রায়ে ওই জমির প্রকৃত মালিক হিসেবে ইউনুস আলী ও তাঁর ভাইদের পক্ষে রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ের পর তাঁরা জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দেওয়া শুরু করেন। ঠিক তখনই স্কুল শিক্ষক আজিজার রহমানের নেতৃত্বে ২০ / ৩০ জন লাঠিয়াল বাহিনী ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। আর আজিজার রহমান স্কুলের ডিউটি থেকে বেড়িয়ে এই হামলার নেতৃত্ব দেয়। এ সময় চার জন আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ।

উল্লেখ্য যে, আজিজার রহমান স্থানীয় সুভা সুজন প্রথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলেও আবুল হোসেন চেয়ারম্যান গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। স্কুল চলাকালীন সময়ে কেন তিনি হামলায় অংশ নিলেন তা জানতে আমাদের প্রতিনিধি কথা বলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদ হাসানের সাথে।

তিনি জানান ” ঘটনা জেনেছি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ” অন্যদিকে হামলা হবার পরও আহতদের পক্ষে এখনও কোন মামলা দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে। তবে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, ঘটনা জেনেছি কোন পক্ষই মামলা বা অভিযোগ দিতে আসেনি। অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এইদিকে জাল দলিল তৈরী করে ভূমি দখলের আরও বেশকিছু আবুল,বাবুল ও আজিজার গংদের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, প্রতারণার অভিযোগে অন্য একটি মামলায় আদালত ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছিল। কৃষি জমি চাষাবাদ নিয়ে সংঘর্ষ হলেও পর্যবেক্ষকরা দেখছেন বিষয়টি একটু ভিন্ন ভাবে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজের সন্ত্রাসী অবস্থান জানান দিতেও হতে পারে এই সংঘর্ষ। কারণ মনোনয়ন যারা দাখিল করেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন রয়েছে শক্ত প্রতিপক্ষ। তাদের ভীত সন্ত্রস্ত করে ঘরে বসিয়ে রাখতেই হতে পারে এই আয়োজন। ঠিক গেল ঝলই শালসিড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্ররাম্ভে এমন ঘটনাই আবুলের লোকেরা ঘটিয়ে প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রেখে নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে ভোট দানে বাধা দিয়ে নির্বাচিত হয়েছিল। তাই গত এই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের অসুস্থ্য ঘটনারই পুনঃরাবৃত্তি শুরু হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। তাই প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ ছাড়া এই ইউনিয়নে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে এমনা আশা করা বৃথা বলেই মনে হয়।