নুরুল ইসলাম: দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় একইদিনে পৃথক দূর্ঘটনায় একজন রং মিস্ত্রী ও অপরজন হেজফখানার ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। গত ১ ডিসেম্বর বুধবার এই পৃথক দূর্ঘটনায় মারা গেছেন রং মিস্ত্রী রিয়াদ হোসেন রণি (২৫) ও হেফজখানার ছাত্র মো. সায়েম (১২)।
ঘটনার দিন বিকেল বেলায় উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ঠেকার দোকান এলাকায় ভবন থেকে পড়ে গিয়ে রং মিস্ত্রী রিয়াদ হোসেন রণির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তিনি উক্ত ভবনে রং-এর কাজ করছিলেন।
জানা যায়, রিয়াদ হোসেন রণি উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের মাস্টার হাট এলাকার জামাল খলিফার পুত্র। কর্মরত অবস্থায় অসাবধনতাবশত: ভবন থেকে পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা সদরের এক বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসাইন মাহমুদ ও চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা রাফিকুল ইসলাম জামান জানান, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, একইদিন বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি শাহ্ সাহেব গেট এলাকায় ক্যাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় হেফজখানার ছাত্রের করুণ মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। নিহত হেফজখানার ছাত্রের নাম মো. সায়েম। তিনি চুনতি ইউনিয়নের বাগান পাড়ার কামাল উদ্দীনের ছেলে ও স্থানীয় হেফজখানার ছাত্র বলে জানা গেছে।
জানা যায়, এই মাদ্রাসা ছাত্র একটি বাইসাইকেল নিয়ে চট্টগ্রাম শহরমুখী চুনতি বাজারের দিকে আসছিলেন। চলন্ত অবস্থায় একই মুখী একটি ক্যাভার্ডভ্যান বাইসাইকেল আরোহী হেফজখানার ছাত্রকে ধাক্কায় দিলে সে ছিটকে পড়ে যায়। আঘাতে মাথা পেটে বের হয়ে পড়ে মগজ। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান এই শিক্ষার্থী। চালক ও চালকসহকারী ক্যাভার্ডভ্যানটি রেখে গা ঢাকা দেয়। সংবাদ পেয়ে দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশ ক্যাভার্ডভ্যানটি আটক করে।
দূর্ঘটনায় নিহত মৃত্যু দু’টির ব্যাপারে মামলার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে দু’লাশের দাফন সম্পন্ন হয়েছে স্ব-স্ব পারিবারিক কবরস্থানে।