দি ক্রাইম নিউজ ডেস্ক: এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামবাসীর বিবেকের কন্ঠস্বর ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ বুধবার (১ ডিসেম্বর ) বাদ আসর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র চট্টলবীর এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৭৭তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর কবরে পুস্পস্তবক অর্পন ও দোয়া মোনাজাতকালে উপরোক্ত মন্তব্য করেন সুজন।
তিনি বলেন, ১৯৪৪ সালের এই দিনে রাউজানের গহিরার সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। স্কুলে পড়া অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সফলভাবে নেতৃত্ব দেওয়া মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন দেশমাতৃকাকে হানাদার মুক্ত করার জন্য। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে জড়িয়ে পড়েন শ্রমিক রাজনীতিতে। ৭৫’র ১৫ আগস্ট জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করার পর ভারতে গিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। দেশে এসে পচাত্তর পরবর্তী বিভিন্ন স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে সংগ্রাম করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেন অগণিত সহকর্মীকে। দলের কাজ করতে গিয়ে বার বার জেল খেটেছেন, তারপরও পিছু হটার লোক ছিলেন না তিনি। অদম্য মনোবল এবং সাহসের উপর ভিত্তি করে বিএনপি সরকারের আমলেই বিপুল ভোটে প্রথম বারের মতো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে অন্য আলোয় উদ্ভাসিত হতে থাকেন তিনি। টানা ১৭ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন শেষে চট্টগ্রাম নগরীকে একটি পরিচ্ছন্ন, সুন্দর, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যবান্ধব নগরী হিসেবে উপহার দিয়েছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। মেয়র নির্বাচনের পূর্বে তাঁর উত্থাপিত ২৮ দফা দাবী এখন চট্টগ্রামের উন্নয়নের রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও একে এক মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
সুজন আরো বলেন, চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থের বিরুদ্ধে যখনই কোন কিছু হয়েছে প্রথমেই গর্জে উঠতেন তিনি। চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থে কোনদিন আপোষ করেননি এই নেতা। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং চট্টগ্রামের ব্যাপারে তিনি ছিলেন অবিচল। বর্তমানে যারা বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন তাদেরকেও চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থে মহিউদ্দিন চৌধুরীর পদাংক অনুসরণ করার আহবান জানান সুজন। তিনি মরহুম এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী কবরে পুস্পস্তবক অর্পন এবং মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল আলম জিকু, কার্যনির্বাহী সদস্য আরাফাত রুবেল, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনিরুল হক মুন্না, চাঁন্দগাও থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল আলম শহীদ, আলী নেওয়াজ রাকিব, মোহাম্মদ তাসিন, ১১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম উদ্দিন তৌসিফ, মো. ইমতিয়াজ প্রমূখ।
Post Views: 230