আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক শতাধিক সৈন্য তালেবানের হাতে নিহত অথবা নিখোঁজ হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নতুন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, তালেবানের নেতৃত্বের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার অঙ্গীকারও সাবেক সৈন্য এবং পুলিশকে লক্ষ্যবস্তু করা থেকে সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর স্থানীয় কমান্ডারদের বিরত রাখতে পারেনি। সাবেক সরকারি সৈন্য ও পুলিশ সদস্যদের নির্বিচার হত্যাকাণ্ডে তালেবানের নেতৃত্বের সায় ছিল বলে অভিযোগ করেছে এইচআরডব্লিউ। তবে দেশটিতে যেকোনো ধরনের প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ সম্প্রতি অস্বীকার করেছেন তালেবানের একজন মুখপাত্র।
২০ বছরের যুদ্ধের পর গত আগস্টে সর্বশেষ সৈন্যদল যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান। তালেবানের উত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আশরাফ গনি। ক্ষমতায় আসার পর দেশটির সাবেক সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে তালেবান। সেই সময় জানানো হয়, তালেবানের সাধারণ ক্ষমার আওতায় সাবেক সরকারের পুলিশ, সেনা অথবা রাষ্ট্রের অন্যান্য শাখায় যারা কাজ করেছেন, তারা নিরাপদ থাকবেন।
কিন্তু অনেকেই তালেবানের সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের হত্যার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে তালেবানের।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তালেবান প্রশাসনে অনেককে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে হত্যা অব্যাহত রয়েছে। দেশটির গজনি, হেলমান্দ, কুন্দুজ এবং কান্দাহার এই চার প্রদেশে ১০০ জনের বেশি মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।
নিউইয়র্কভিত্তিক এই দাতব্য সংস্থা বলেছে, নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আত্মসমর্পণকারী নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যদের একটি চিঠি পাওয়ার জন্য নিবন্ধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। নিবন্ধনের কয়েক দিনের মধ্যে ওই সদস্যদের আটক ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর অথবা গুম করে তালেবান। সূত্র: বিবিসি।