দি ক্রাইম নিউজ ডেস্ক: বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের অগ্রগতি জানতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবীর এর দফতরে উপস্থিত হন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ সোমবার (২৯ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য’র সাথে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন সুজন।
এসময় তিনি বলেন, বন্দর-পতেঙ্গা এলাকার বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর সুচিকিৎসার নিমিত্তে একটি মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে আসছিল নাগরিক উদ্যোগ। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর খোরশেদ আলম সুজন স্বাক্ষরিত একখানা ডি.ও পত্র গত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০খ্রি. স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে প্রেরণ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতাল স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় হাসপাতাল স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করে জায়গা উল্লেখসহ একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করতে বলা হয়। পরিচালক (স্বাস্থ্য) প্রতিবেদনটিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল স্থাপনের জন্য একখানা বিশদ প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বরাবরে প্রেরণ করেন। আর প্রতিবেদন পরবর্তী অগ্রগতি জানতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর দফতরে উপস্থিত হয়ে সুজন আরো বলেন বাণিজ্যিক রাজধানীর পাশাপাশি এতো বিপুল জনগোষ্ঠীর একটি এলাকায় স্বাধীনতার পর থেকে হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ না করাটা দুঃখজনক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের গুরুত্বকে উপলব্দি করে চট্টগ্রামকে নতুন করে সাজানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। আউটার সিটি রিং রোড, পতেঙ্গায় আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল এবং টানেল নির্মাণকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এলাকাটি। তাই আগামী দিনের চিন্তা চেতনাকে মাথায় রেখে উন্নয়নের পাশাপাশি ঐ এলাকায় ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ সময়ের দাবী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার লাখ লাখ মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে। সুজন হাসপাতাল নির্মাণের কার্যক্রমটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো পর্যন্ত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ আরম্ভ হয়নি। যার ফলে প্রতিদিনই চট্টগ্রাম থেকে বিপুল পরিমান বিদেশ যাত্রীর ঢাকা হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। এতে করে চট্টগ্রামের যাত্রীরা হয়রানি এবং ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। চট্টগ্রাম থেকে জার্নি করে ঢাকায় গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন ধরে আরটিপিসিআর টেস্ট করে বিদেশ যাত্রা তাদের জন্য দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এতে করে চট্টগ্রামে বসবাসরত প্রবাসীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ এবং হতাশা বিরাজ করছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যাতে খুব সহসাই বাস্তবায়ন হয় এবং চট্টগ্রামের যাত্রীরা যাতে চট্টগ্রাম থেকেই নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেজন্য বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন সুজন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবীর অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে সুজনের সাথে মতবিনিময় করেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বন্দর পতেঙ্গা এলাকার লাখ লাখ জনগোষ্ঠীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যা নাগরিক উদ্যোগের দীর্ঘদিনের দাবীর ফসল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল এলাকার জনগনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। তিনি উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সামনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া’র সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন এবং বন্দর পতেঙ্গা এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণের কার্যক্রমটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান।
সিনিয়র সচিব বলেন, সরকার বন্দর পতেঙ্গা সন্নিহিত এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি হাসপাতাল নির্মাণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতারও আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়া শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের প্রক্রিয়াও প্রায় শেষের পথে উল্লেখ করে পরিচালক (স্বাস্থ্য) বলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, মনিরুল হক মুন্না প্রমূখ।
দি ক্রাইম নিউজ ডেস্ক: বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের অগ্রগতি জানতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবীর এর দফতরে উপস্থিত হন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ সোমবার (২৯ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য’র সাথে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন সুজন।
এসময় তিনি বলেন, বন্দর-পতেঙ্গা এলাকার বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর সুচিকিৎসার নিমিত্তে একটি মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে আসছিল নাগরিক উদ্যোগ। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর খোরশেদ আলম সুজন স্বাক্ষরিত একখানা ডি.ও পত্র গত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০খ্রি. স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে প্রেরণ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতাল স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় হাসপাতাল স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করে জায়গা উল্লেখসহ একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করতে বলা হয়। পরিচালক (স্বাস্থ্য) প্রতিবেদনটিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল স্থাপনের জন্য একখানা বিশদ প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বরাবরে প্রেরণ করেন। আর প্রতিবেদন পরবর্তী অগ্রগতি জানতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর দফতরে উপস্থিত হয়ে সুজন আরো বলেন বাণিজ্যিক রাজধানীর পাশাপাশি এতো বিপুল জনগোষ্ঠীর একটি এলাকায় স্বাধীনতার পর থেকে হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ না করাটা দুঃখজনক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের গুরুত্বকে উপলব্দি করে চট্টগ্রামকে নতুন করে সাজানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। আউটার সিটি রিং রোড, পতেঙ্গায় আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল এবং টানেল নির্মাণকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এলাকাটি। তাই আগামী দিনের চিন্তা চেতনাকে মাথায় রেখে উন্নয়নের পাশাপাশি ঐ এলাকায় ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি মাতৃসদন কাম জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ সময়ের দাবী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার লাখ লাখ মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে। সুজন হাসপাতাল নির্মাণের কার্যক্রমটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো পর্যন্ত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ আরম্ভ হয়নি। যার ফলে প্রতিদিনই চট্টগ্রাম থেকে বিপুল পরিমান বিদেশ যাত্রীর ঢাকা হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। এতে করে চট্টগ্রামের যাত্রীরা হয়রানি এবং ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। চট্টগ্রাম থেকে জার্নি করে ঢাকায় গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন ধরে আরটিপিসিআর টেস্ট করে বিদেশ যাত্রা তাদের জন্য দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এতে করে চট্টগ্রামে বসবাসরত প্রবাসীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ এবং হতাশা বিরাজ করছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যাতে খুব সহসাই বাস্তবায়ন হয় এবং চট্টগ্রামের যাত্রীরা যাতে চট্টগ্রাম থেকেই নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেজন্য বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন সুজন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবীর অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে সুজনের সাথে মতবিনিময় করেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বন্দর পতেঙ্গা এলাকার লাখ লাখ জনগোষ্ঠীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যা নাগরিক উদ্যোগের দীর্ঘদিনের দাবীর ফসল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল এলাকার জনগনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। তিনি উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সামনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া’র সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন এবং বন্দর পতেঙ্গা এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণের কার্যক্রমটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান।
সিনিয়র সচিব বলেন, সরকার বন্দর পতেঙ্গা সন্নিহিত এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি হাসপাতাল নির্মাণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতারও আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়া শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের প্রক্রিয়াও প্রায় শেষের পথে উল্লেখ করে পরিচালক (স্বাস্থ্য) বলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, মনিরুল হক মুন্না প্রমূখ।