দি ক্রাইম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানীর ডেপুটি হেড এবং চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স কনস্টানজা জায়েহ্রিঙ্গার গত ২৯ নভেম্বর সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

এ সময় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, পরিচালকবৃন্দ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, সাকিফ আহমেদ সালাম, এস. এম. তাহসিন জোনায়েদ, জার্মানীর অনারারী কনসাল মির্জা শাকির ইস্পাহানী বক্তব্য রাখেন। চেম্বার পরিচালক মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, দূতাবাসের ইকোনমিক এ্যাফেয়ার্স অফিসার ফারিস্তা মাহবুব ও চেম্বার সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চেম্বারের পক্ষ থেকে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স (বিসিই)’র প্রধান নির্বাহী ওয়াসফি তামিম।

জার্মানীর ডেপুটি হেড এবং চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স কনস্টানজা জায়েহ্রিঙ্গার বলেন, চট্টগ্রামে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ওএভি জার্মান এশিয়া-প্যাসিফিক বিজনেস এসোসিয়েশন’র একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ২০১৯ সালে চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে মতবিনিময় করে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন সাপেক্ষে আবারো জার্মানী থেকে বাণিজ্য প্রতিনিধিদল চট্টগ্রামে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। উভয়দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ফলে যৌথ উদ্যোগসহ বিনিয়োগের পথ আরো প্রশস্ত হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানীসহ অনেক খাতেই জার্মানীর সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। জার্মানীতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বলে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণ করা হলে তা কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তিনি চিটাগাং চেম্বারে জার্মান বিনিয়োগকারীদের সহায়তার লক্ষ্যে একটি ডেস্ক স্থাপনের বিষয় বিবেচনার কথা জানান।

চেম্বার সভাপতি মাহবুুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রামের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানিসহ দেশের সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। বন্দর সুবিধার কারণে এ অঞ্চলে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিদ্যমান। বর্তমানে মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদি সুবিধাসহ ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি সরকার অনেক প্রণোদনা সুবিধা দিচ্ছে। তিনি এসব সুবিধা কাজে লাগাতে জার্মান বিনিয়োগ এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর চট্টগ্রামে অনেক জার্মান কোম্পানী নবায়নযোগ্য জ্বালানী খাতে বিশেষ অবদান রাখছে উল্লেখ করে এদেশের উদ্যোক্তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো, ফার্মাসিউটিক্যালস, পর্যটনের উন্নয়ন এবং জলবায়ুজনিত পরিবর্তন মোকাবেলায় জার্মানীর সহযোগিতা বৃদ্ধির অনুরোধ জানান।

মিরসরাই ইকোনমিক জোনে ৫০০ একর জায়গা নিয়ে নির্মাণাধীন আরএমজি পল্লীতে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কমপ্ল্যায়েন্সসহ সার্বিক কারিগরি সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন এবং প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবনী সক্ষমতা সৃষ্টিতে কর্মসূচী বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

চেম্বার সহ-সভাপতি জার্মান টেকনিক্যাল, ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট এবং নেতৃস্থানীয় চেম্বার অব কমার্স ও চিটাগাং চেম্বারের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সমঝোতা স্মারকের প্রস্তাব করেন। জার্মানীর অনারারী কনসাল মির্জা শাকির ইস্পাহানী এদেশে জার্মানী বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে চেম্বারের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মতবিনিময় শেষে ডেপুটি হেড এবং চার্জ দ্য এ্যাফায়ার্স ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পারমানেন্ট এক্সিবিশন হল পরিদর্শন করেন।

দি ক্রাইম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানীর ডেপুটি হেড এবং চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স কনস্টানজা জায়েহ্রিঙ্গার গত ২৯ নভেম্বর সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

এ সময় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, পরিচালকবৃন্দ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, সাকিফ আহমেদ সালাম, এস. এম. তাহসিন জোনায়েদ, জার্মানীর অনারারী কনসাল মির্জা শাকির ইস্পাহানী বক্তব্য রাখেন। চেম্বার পরিচালক মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, দূতাবাসের ইকোনমিক এ্যাফেয়ার্স অফিসার ফারিস্তা মাহবুব ও চেম্বার সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চেম্বারের পক্ষ থেকে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স (বিসিই)’র প্রধান নির্বাহী ওয়াসফি তামিম।

জার্মানীর ডেপুটি হেড এবং চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স কনস্টানজা জায়েহ্রিঙ্গার বলেন, চট্টগ্রামে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ওএভি জার্মান এশিয়া-প্যাসিফিক বিজনেস এসোসিয়েশন’র একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ২০১৯ সালে চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে মতবিনিময় করে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন সাপেক্ষে আবারো জার্মানী থেকে বাণিজ্য প্রতিনিধিদল চট্টগ্রামে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। উভয়দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ফলে যৌথ উদ্যোগসহ বিনিয়োগের পথ আরো প্রশস্ত হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানীসহ অনেক খাতেই জার্মানীর সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। জার্মানীতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বলে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণ করা হলে তা কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তিনি চিটাগাং চেম্বারে জার্মান বিনিয়োগকারীদের সহায়তার লক্ষ্যে একটি ডেস্ক স্থাপনের বিষয় বিবেচনার কথা জানান।

চেম্বার সভাপতি মাহবুুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রামের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানিসহ দেশের সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। বন্দর সুবিধার কারণে এ অঞ্চলে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিদ্যমান। বর্তমানে মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদি সুবিধাসহ ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি সরকার অনেক প্রণোদনা সুবিধা দিচ্ছে। তিনি এসব সুবিধা কাজে লাগাতে জার্মান বিনিয়োগ এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর চট্টগ্রামে অনেক জার্মান কোম্পানী নবায়নযোগ্য জ্বালানী খাতে বিশেষ অবদান রাখছে উল্লেখ করে এদেশের উদ্যোক্তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো, ফার্মাসিউটিক্যালস, পর্যটনের উন্নয়ন এবং জলবায়ুজনিত পরিবর্তন মোকাবেলায় জার্মানীর সহযোগিতা বৃদ্ধির অনুরোধ জানান।

মিরসরাই ইকোনমিক জোনে ৫০০ একর জায়গা নিয়ে নির্মাণাধীন আরএমজি পল্লীতে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কমপ্ল্যায়েন্সসহ সার্বিক কারিগরি সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন এবং প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবনী সক্ষমতা সৃষ্টিতে কর্মসূচী বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

চেম্বার সহ-সভাপতি জার্মান টেকনিক্যাল, ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট এবং নেতৃস্থানীয় চেম্বার অব কমার্স ও চিটাগাং চেম্বারের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সমঝোতা স্মারকের প্রস্তাব করেন। জার্মানীর অনারারী কনসাল মির্জা শাকির ইস্পাহানী এদেশে জার্মানী বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে চেম্বারের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মতবিনিময় শেষে ডেপুটি হেড এবং চার্জ দ্য এ্যাফায়ার্স ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পারমানেন্ট এক্সিবিশন হল পরিদর্শন করেন।