নিজস্ব প্রতিবেদক ∷ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার রাতে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়। নির্বাচন কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়। জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে একটি মেইল আসে। উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত মেইল বার্তায় জানানো হয়, চলমান অবস্থায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসনিক কারণে ওসি নাসির উদ্দীনকে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। তাঁর স্থলে একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে পদায়ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওসি নাসির উদ্দীনকে প্রত্যাহার করে তাঁর স্থলে একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে পদায়ন করে নির্বাচন কমিশন সচিবলায়কে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১০টায় দৌলতপুর থানার ওসি নাসির উদ্দীনের মুঠোফোনে কল করা হলে সেটি ধরেন পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, নাসির উদ্দীন দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন। কুষ্টিয়া থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্ব নিতে দৌলতপুরে আসছেন।
২৮ নভেম্বর দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ হবে। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় ও একাধিক ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী রয়েছেন। বিএনপির নেতারাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন। প্রতিদিন এই উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতা ঘটছে। নেতারা পথসভায় বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।
বিকাশের ‘খরচ কমলো’ বিজ্ঞাপন গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা : আমিনুল ইসলাম বুলু
বিভিন্ন শর্তে মাত্র একটি প্রিয় এজেন্ট নাম্বারে বিকাশের ক্যাশ আউট চার্জ ১৪.৯০ টাকা করে এ নিয়ে ‘খরচ কমলো’ বলে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার সমালোচনা করে এ অফারকে প্রকৃত অর্থ গ্রাহকদের সাথে ‘প্রতারণা ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন।
আজ বৃস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন “মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস বিকাশের ক্যাশ আউট চার্জ পূর্বে ছিল প্রতি হাজারে অ্যাপে ১৭.৫০ টাকা এবং *২৪৭# ডায়াল করে ১৮.৫০ টাকা। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রিয় এজেন্ট নাম্বার নাম্বারে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট চার্জ ভ্যাটসহ ১৪.৯০ পয়সা নির্ধারণ করে। এক ক্যালেন্ডার মাসে প্রিয় এজেন্ট পরিবর্তন করতে না পারা, ক্যাশ আউট লিমিট বেঁধে দেয়া এমন অনেক শর্ত একদমই হাইলাইট না করে শুধুমাত্র ‘বিকাশে খরচ কমলো’ বিজ্ঞাপন ব্যাপকভাবে প্রচারের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করছে বলে আমরা মনে করি। এমনকি এ সময়েই বিকাশ থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাশ আউট চার্জ ১৭.৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮.৫০ টাকা করা হয়েছে। এখন বিকাশে অ্যাপ অথবা *২৪৭# ডায়াল করে যেভাবেই গ্রাহক ক্যাশআউট করুক চার্জ ১৮.৫০ টাকা।”
বুলু আরো বলেন, বেশির ভাগ গ্রাহকই বিকাশের বিজ্ঞাপন দেখে ক্যাশ আউট করতে এসে বিভ্রান্ত হয়েছেন। অনেক গ্রাহক এজেন্টদের সাথে বাগবিতন্ডায় জড়িয়েছেন। এজেন্টরা তখন বাধ্য হয়ে বিজ্ঞাপনের নিচে ছোট করে লেখা শর্তগুলো দেখাচ্ছেন। আমাদের দেশের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারকারী বেশির ভাগ গ্রাহক নিম্ন মধ্যবিত্ত হওয়ায় তারা এত শর্তের মারপ্যাচে ক্যাশ আউট চার্জ ১৪.৯০ টাকার সুফল নিতে পারছেন না। তাদের মধ্যে অনেকেই বুঝতে না পারায় প্রিয় এজেন্ট সংযুক্ত করতে পারেননি। আবার অনেকে একেক দিন একেক নাম্বারে ক্যাশ আউট করায় প্রিয় এজেন্ট যুক্ত করতে আগ্রহী হননি। আবার অনেকে এসব শর্তকে ঝামেলা মনে করে বিষয়টিকে এড়িয়ে চলছেন। গ্রাহকরা সুবিধা নিক আর না নিক বিকাশ কিন্তু ঠিকই অ্যাপ থেকে ক্যাশআউট চার্জ বাড়িয়ে এবং ব্যাপক ভাবে ‘খরচ কমলো’ প্রচারণা চালিয়ে তাদের ব্যবসায়িক সুবিধা তুলে নিয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “একই ভাবে আরেকটি মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ‘নগদ’ ক্যাশ আউট চার্জ ৯.৯৯ টাকা বলে প্রচারনা চালালেও বাস্তবতা হচ্ছে অ্যাপ থেকে প্রতি হাজারে ভ্যাটসহ ক্যাশ আউট চার্জ ১১.৪৯ টাকা এবং ইউএসএসডিতে (*১৬৭# ডায়াল করে) ক্যাশ আউট চার্জ ১৪.৯৪ টাকা।” অবিলম্বে সত্য গোপন করে বিভ্রান্তিকর এহেন প্রচারনা বন্ধের জোর দাবি জানান।