ইপসিতা জাহান সুমা,চুয়েট প্রতিনিধি: বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীদের প্রতি বৈষম্য নিরসনের দাবিতে নগরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (০৫ জুলাই) বিকেল ৪টায় নগরীর ২ নম্বর গেইট এলাকায় চুয়েট,চবি, আইআইইউসি সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা “আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই”, “কোটা না,মেধা চাই”:কোটার নামে বৈষম্য চলবে না”,“এই মুহূর্তে দরকার,কোটা প্রথার সংস্কার” ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন পুরো এলাকা।মিছিলটি ২ নম্বর গেইট থেকে শুরু হয়ে জিইসি মোড় ঘুরে আবার পূর্বের স্থানে ফিরে আসে। পরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দফা দাবি পুনরায় উত্থাপন করেন।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা, দশম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা এবং বিএসসি ছাড়া অন্য কেউ ‘প্রকৌশলী’ পদবি ব্যবহার করতে না পারে, এ বিষয়ে আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ।

শিক্ষার্থীদের দাবি,একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর কারণে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রকৌশল পদে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। সরকারি চাকরির দশম গ্রেডে কেবল ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ এবং নবম গ্রেডে ৩৩.৩ শতাংশ কোটা বৈষম্যের বড় উদাহরণ বলে তারা উল্লেখ করেন। এমনকি নবম গ্রেডে কোটার পরিমাণ ৫০ শতাংশে উন্নীত করারও অযৌক্তিক দাবিও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

এসময় প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন এর যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল আহমাদ ইকবাল বলেন, যেই কোটার জন্য আমাদের গত জুলাইয়ে আন্দোলন করতে হয়েছে,সেই কোটার জন্য এক বছর পর আবার সেই আন্দোলনেই নামতে হচ্ছে। ডিপ্লোমাধারীরা ১০ম গ্রেড সরাসরি নিজেদের করে নিয়েছে, এখন ৯ম গ্রেডে ৩৩% কোটার নামে অনেক জায়গায় ১০০% প্রমোশন নিয়ে নিচ্ছে। এভাবে কোটার মাধ্যমে কেউ বিশেষ সুবিধা পেতে পারে না।

এই আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক শাকিবুল হক লিপু বলেন, ডিপ্লোমাধারীদের বিএসসি সার্টিফিকেট নেই। এভাবে, প্রকৌশলী না হয়েও তারা প্রকৌশলীদের জন্য বরাদ্দকৃত চাকরির পোস্ট সমূহ নিয়ে নিচ্ছে। চার বছর কস্ট করে, পরিশ্রম করে বিএসসি অর্জন করতে হয়। এরপর এমন বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না। এভাবে চলতে পারে না। আমরা তাই আমাদের নিজেদের দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছি।

বিক্ষোভকারী চুয়েট শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, সমাবাহু ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল নির্ণয় শিখে এসে ডিপ্লোমারা প্রকৌশলের জন্য বরাদ্দকৃত পদ নিচ্ছে। এদিকে চার বছরে কঠিন কঠিন কোর্স শেষ করে আমরা চাকরিই পাচ্ছি না। আমাদেরকে আবেদন করা থেকেই বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে সমমর্যাদার পদ বাগিয়ে নিচ্ছে। স্বাধীন বাংলায় এমন বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না।

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান মোহাব্বত বলেন,পেশিশক্তি ও লবিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ পদোন্নতি পাচ্ছে ডিপ্লোমারা। নিয়ম ভেঙে পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। চরম মাত্রার অনিয়ম চলছে। এগুলোর প্রমাণও রয়েছে। এরকম করেও তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। এমনটা হতে পারে না। সরকারের উচিত দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া। বৈষম্য দূর করা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমাবেশ হচ্ছে সবাই প্রকৌশলীই এই দাবির পক্ষে সোচ্চার।

ইপসিতা জাহান সুমা,চুয়েট প্রতিনিধি: বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীদের প্রতি বৈষম্য নিরসনের দাবিতে নগরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (০৫ জুলাই) বিকেল ৪টায় নগরীর ২ নম্বর গেইট এলাকায় চুয়েট,চবি, আইআইইউসি সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা “আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই”, “কোটা না,মেধা চাই”:কোটার নামে বৈষম্য চলবে না”,“এই মুহূর্তে দরকার,কোটা প্রথার সংস্কার” ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন পুরো এলাকা।মিছিলটি ২ নম্বর গেইট থেকে শুরু হয়ে জিইসি মোড় ঘুরে আবার পূর্বের স্থানে ফিরে আসে। পরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দফা দাবি পুনরায় উত্থাপন করেন।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা, দশম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা এবং বিএসসি ছাড়া অন্য কেউ ‘প্রকৌশলী’ পদবি ব্যবহার করতে না পারে, এ বিষয়ে আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ।

শিক্ষার্থীদের দাবি,একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর কারণে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রকৌশল পদে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। সরকারি চাকরির দশম গ্রেডে কেবল ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ এবং নবম গ্রেডে ৩৩.৩ শতাংশ কোটা বৈষম্যের বড় উদাহরণ বলে তারা উল্লেখ করেন। এমনকি নবম গ্রেডে কোটার পরিমাণ ৫০ শতাংশে উন্নীত করারও অযৌক্তিক দাবিও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

এসময় প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন এর যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল আহমাদ ইকবাল বলেন, যেই কোটার জন্য আমাদের গত জুলাইয়ে আন্দোলন করতে হয়েছে,সেই কোটার জন্য এক বছর পর আবার সেই আন্দোলনেই নামতে হচ্ছে। ডিপ্লোমাধারীরা ১০ম গ্রেড সরাসরি নিজেদের করে নিয়েছে, এখন ৯ম গ্রেডে ৩৩% কোটার নামে অনেক জায়গায় ১০০% প্রমোশন নিয়ে নিচ্ছে। এভাবে কোটার মাধ্যমে কেউ বিশেষ সুবিধা পেতে পারে না।

এই আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক শাকিবুল হক লিপু বলেন, ডিপ্লোমাধারীদের বিএসসি সার্টিফিকেট নেই। এভাবে, প্রকৌশলী না হয়েও তারা প্রকৌশলীদের জন্য বরাদ্দকৃত চাকরির পোস্ট সমূহ নিয়ে নিচ্ছে। চার বছর কস্ট করে, পরিশ্রম করে বিএসসি অর্জন করতে হয়। এরপর এমন বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না। এভাবে চলতে পারে না। আমরা তাই আমাদের নিজেদের দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছি।

বিক্ষোভকারী চুয়েট শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, সমাবাহু ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল নির্ণয় শিখে এসে ডিপ্লোমারা প্রকৌশলের জন্য বরাদ্দকৃত পদ নিচ্ছে। এদিকে চার বছরে কঠিন কঠিন কোর্স শেষ করে আমরা চাকরিই পাচ্ছি না। আমাদেরকে আবেদন করা থেকেই বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে সমমর্যাদার পদ বাগিয়ে নিচ্ছে। স্বাধীন বাংলায় এমন বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না।

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান মোহাব্বত বলেন,পেশিশক্তি ও লবিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ পদোন্নতি পাচ্ছে ডিপ্লোমারা। নিয়ম ভেঙে পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। চরম মাত্রার অনিয়ম চলছে। এগুলোর প্রমাণও রয়েছে। এরকম করেও তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। এমনটা হতে পারে না। সরকারের উচিত দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া। বৈষম্য দূর করা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমাবেশ হচ্ছে সবাই প্রকৌশলীই এই দাবির পক্ষে সোচ্চার।