বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানের রুমা উপজেলার পলিপাংসা-মুলফিপাড়া এলাকায় ‘কেএনএফ’ এর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করেন। আজ বৃহস্পতিবার(০৩ জুলাই) ভোর ৫ টায় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার পলিপাংসা-মুলফিপাড়া এলাকায় ‘কেএনএফ’ এর সশস্ত্র দলের বিরুদ্ধে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এলাকায় তল্লাশি চলাকালে সেনা সদস্যরা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দলটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় কেএনএফ সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে উভয়পক্ষে মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে, সেনা টহল দল ঘটনাস্থলে ইউনিফর্ম পরিহিত দু’জন সশস্ত্র কেএনএফ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
নিহত দু’জনের মধ্যে একজনের নাম পুটিং/ডলি যিনি কেএনএফ-এর নেতৃত্ব পর্যায়ের মেজর পদবির সশস্ত্র সদস্য ছিলেন। নিহত আরেকজন কেএনএফ এর সশস্ত্র শাখার সদস্য ছিলেন বলে সেনাবাহিনী সুত্রে জানা গেছে।
অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে ৩টি সাবমেশিনগান (SMG), ১টি রাইফেল, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, অস্ত্রের ম্যাগাজিন, কেএনএফ-এর ব্যবহৃত ইউনিফর্ম এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
বিগত বছরগুলোতে কেএনএফ-এর সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের জন্যে বম জনগোষ্ঠীর অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। সেনাবাহিনীর অব্যাহত অভিযানের কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়; যার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ১২৬টি পরিবার তাদের নিজ নিজ পাড়ায় ফিরে এসেছে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টায় রয়েছে। সেনাবাহিনী তাদের নিরাপত্তা, আশ্রয় ও পূনর্বাসনে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জাতিগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর এবং ভবিষ্যতেও সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যহত থাকবে।
বিগত বছরগুলোতে কেএনএফ-এর সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের জন্যে বম জনগোষ্ঠীর অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। সেনাবাহিনীর অব্যাহত সফল অভিযানের কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়; যার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ১২৬টি পরিবার তাদের নিজ নিজ পাড়ায় ফিরে এসেছে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টায় রয়েছে। সেনাবাহিনী তাদের নিরাপত্তা, আশ্রয় ও পূনর্বাসনে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জাতিগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর এবং ভবিষ্যতেও সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যহত থাকবে।